নামঃ লাল ড্রাসিনা
বৈজ্ঞানিক নামঃDracaena
বর্ণনাঃনাসা অনুমোদিত বাতাস পরিশুদ্ধকারী গাছের মধ্যে অন্যতম ড্রাসিনা
নাসা অভ্যন্তরীণ দূষিত বাতাস দূরীকরণে ঘরোয়া ল্যান্ডস্কেপিং গাছ নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করে। তারা বেশ কিছু গাছকে পরীক্ষা করে দেখে তাদের কিছু রাসায়নিক পদার্থ যেমন ট্রাইক্লোরোইথিলিন, ফর্মালডিহাইড, বেনজিন দূর করার সক্ষমতা রয়েছে। বেশ কিছু ড্রাসিনা উদ্ভিদ পরীক্ষা করা হয় এবং দেখা যায় এরা অন্যান্য সাধারণ ঘরোয়া উদ্ভিদের চেয়ে অনেক বেশি মাত্রায় এসব কেমিক্যাল দূর করতে সক্ষম।
রোপণ ও পরিচর্যাঃ ড্রাসিনা খুব সহজ পরিচর্যাযোগ্য উদ্ভিদের মধ্যে অন্যতম। এটি সাকুলেন্ট উদ্ভিদের মতোই সহজে যত্ন নেওয়া সম্ভব। ক্লোরিনমুক্ত পানি ছিটিয়ে দিতে হবে সারা গাছে। সরাসরি ট্যাপের পানি ব্যবহার করা ক্ষতিকর যেহেতু এতে ক্লোরিন মিশ্রিত থাকে। তাই শুধুমাত্র পরিশুদ্ধ করা পানি বা বৃষ্টির পানি ব্যবহার করা যেতে পারে সর্বোচ্চ ফলাফলের জন্যে। বেশিরভাগ গাছই উচ্চমাত্রার ক্লোরিনযুক্ত পানি পছন্দ করে না।এটি সরাসরি সূর্যালোকের চেয়ে ঘরের ভেতরের উজ্জ্বল স্থানে থাকতেই বেশি পছব্দ করে। ছায়াযুক্ত স্থান হলেও কিছুটা মানিয়ে নেয়। ছায়াময় স্থান শুধু একটু ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে। আর কোনো অসুবিধা নেই। ড্রাসিনা ছোট পটেও সহজে বেড়ে ওঠে। সামান্য পরিমাণ জৈব রাসায়নিক সার কিংবা কিচেনের ফেলে দেওয়া জৈব উপাদান দুয়ে বানানো সার বছরে ১ বার ব্যবহার করলেই ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে। ড্রাসিনার জন্যে প্রচুর সারের প্রয়োজন পড়ে না, যেকোনো জাতের ড্রাসিনাই খুব সহজ পরিচর্যাযোগ্য।চারা রোপন
ড্রাসিনা বেড়ে ওঠার সর্বোচ্চ ফলাফলের জন্যে আপনাকে সুনিষ্কাশন ক্ষমতা সম্পন্ন পটিং সয়েল ব্যবহার করতে হবে। পাতা কুকড়ে যাওয়া।থেকে গাছকে রক্ষা করতে সামান্য পানি দিলেই চলবে।
টবে রোপণের ক্ষেত্রে দোআঁশ মাটির সঙ্গে তিন ভাগের এক ভাগ পরিমাণ জৈব সার মিশিয়ে মাটি তৈরি করতে হবে। এর সঙ্গে একমুঠো হাড়ের গুঁড়ো, দুই চা-চামচ চুন, দু মুঠো ছাই মেশাতে পারলে ভালো হয়। এতে টবের মাটি দীর্ঘদিন উর্বর থাকবে। মৌসুমি ফুলের ক্ষেত্রে মাসখানেক বয়সের চারা টবে রোপণ করা উচিত।
সার প্রয়োগ
বেড়ে ওঠার সময় শীতকাল ও গ্রীষ্মকালে ২ থেকে ৪ বার সার প্রয়োগ করতে হবে।
Reviews
There are no reviews yet.