নামঃ আঠা বেল
বৈজ্ঞানিক নামঃ Aegle marmelos
বর্ণনাঃদেহে বিটা ক্যারোটিন, প্রোটিন, রাইবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি এবং বি 2, থায়ামিন, নিয়াসিন, ক্যারোটিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ফাইবার জাতীয় পুষ্টি পাওয়া যায়। এই শরবত পান করলে বদহজম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শরীরে রক্ত বাড়ায়।
রোপণ ও পরিচর্যাঃবেল একটি উষ্ণ ও অব-উষ্ণ মন্ডলের ফল। যে কোন ধরনের মাটিতে (অম্লীয় ও ক্ষারীয়) এবং বিরূপ আবহাওয়ায় (-৭ থেকে ৪৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) জন্মাতে ও ফলন দিতে সক্ষম।
সব ধরনের মাটিতেই বেল এর চাষাবাদ করা যাবে। যেমন বেলে দোআঁশ, পলি দোআঁশ, এটেল দোআঁশ, দোআঁশ মাটিতে জন্মাতে পারে। গভীর দোআঁশ এবং ঊর্বর মাটি বেল চাষের জন্য সর্বোত্তম। তবে জলাবদ্ধ জায়গা বাণিজ্যিকভাবে নির্বাচন করা উচিৎ নয়। মাটির অম্লমান ৫.০ হতে শুরু করে ৮.৫ হলেও এটি উৎপাদন করা যাবে। অন্যান্য ফসল যেখানে জন্মাতে পারে না, বেল সে সমস্ত জায়গায় জন্মাতে ও ফলন দিতে সক্ষম।
নিচু এবং উঁচু জমি, যেখানে বৃষ্টির বা বন্যার পানি জমে না অথবা দ্রুত নিষ্কাশনযোগ্য এমন জমি নির্বাচন করতে হবে। চারা রোপণের ১০-১৫ দিন পূর্বে প্রতিটি গর্তে পচা গোবর সার ১০-১৫ কেজি, ইউরিয়া ২০০ গ্রাম, টি এস পি ১৫০ গ্রাম, এমপি ১৫০ গ্রাম, জিপসাম ৫০ গ্রাম, জিংকসালফেট ৩০ গ্রাম ও বোরিক এসিড ২০ গ্রাম ভালভাবে মাটির সাথে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করে রাখতে হবে। এরপর গর্তের মাঝখানে চারা রোপণ করতে হবে।বেল গাছের রোপণ দূরত্ব বেলের ফলনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে । চারা বা কলম লাগানোর জন্যে লাইন থেকে লাইন এবং গাছ থেকে গাছের দূরুত্ব ৫.০ মিটার এবং ৬০ x ৬০ x ৬০ সেন্টিমিটার আকারের গর্ত তৈরি করতে হবে। তবে সেক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ বছর বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি, ডাল জাতীয় ফসল, তৈলবীজ জাতীয় ফসলের চাষ অনায়াসে করা যায়। জুন-জুলাই মাসে চারাটি নির্দিষ্ট গর্তে রোপণ করতে হবে।
Reviews
There are no reviews yet.