নামঃorange jasmine,কামিনী
বৈজ্ঞানিক নাম: Murraya paniculata
বর্ণনাঃকামিনী ফুলের বিভিন্ন নাম বর্তমান। যেমন কামিনী, একাঙ্গী, বীরসার ইত্যাদি।
সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে কামিনী ফুলের গুরুত্ব অনেক। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই ফুল ব্যবহৃত হয়। শুধু তাই নয়। কামিনী পাতার অসাধারন বিন্যাস এর সৌন্দর্য্যকে অনেক গুন বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন বিয়েবাড়ি সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে প্রচুর পরিমানে পাতা ব্যবহৃত হয়।
কখন পাওয়া যায়ঃ
গ্রীষ্ম থেকে শরৎকাল পর্যন্ত কামিনী ফুলের মরসুম। গাছে একটু আন্দোলিত হলে সব ফুল ঝরে পড়ে। মাটির উপর এর পড়ে থাকার দৃশ্যটি অসাধারণ। মনে হয় যেন সাদা চাদর বিছিয়ে রেখেছে। তবে আজকাল অন্য সময়েও এই ফুল ফুটতে দেখা যায়। কামিনী ফুল টবে,বাড়ির উঠান, বাগান,বারান্দায় ইদ্যাদি জায়গায় সাজালে সেখানকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
কামিনীর বৈশিষ্ট্য:
কামিনীর ফুল ছোট ও সুগন্ধীযুক্ত।এর ফল ছোটো ও ডিম্বাকার। প্রথমে সবুজ ও পরে পাকলে লাল কমলা হয়ে যায়।কামিনী ফুল রাতে ফোটে ।
বংশবিস্তার পদ্ধতি: কামিনী ফুল দুই প্রকার পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করা সম্ভব।বীজ থেকে বংশবিস্তার করা সম্ভব।গুটি কলম পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করা যায়।
জলবায়ুঃ
কামিনী গাছের চাষের জন্য খুব বেশী নয় এমন আর্দ্র মাটি প্রয়োজন। তবে মাটি যাতে বেশী ভিজে কাদা কাদা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর কোনো কারণে মাটি স্যাঁতসেঁতে থাকলে সেই কয়দিন জল দেওয়ার প্রয়োজন নেই। হাল্কা ছায়া কামিনীর জন্য উপযোগী। মিটি শুকনো হলে ভাল।টবে কামিনী ফুল চাষের জন্য বড় উচ্চতার টব হলে ভাল হয়।
পরিচর্যাঃ
এই গাছে সাধারণত বর্ষাকালে ফুল পাওয়া যায়। ভাল বৃদ্ধির জন্য ভারী দোঁয়াশ মাটি হলে ভাল হয়। আপনি যদি টবে কামিনী চাষ করতে চান তাহলে প্রথমেই যেটি করবেন, পরিমান মতো দো-আঁশ বা বেলে মাটি, এর সাথে পরিমান মতো ব্যালিমিন, কম্পোস্ট, একমুঠো হাঁড়ের গুঁড়ো, দু’মুঠো ছাই মিশিয়ে নিন। এতে টবের মাটি ভাল থাকবে। এর সঙ্গে কিছুটা পরিমান পাতা পচা সার, গোবর, খৈল মিশিয়ে মাটি তৈরি করলে ভাল হয়।গোবর সার, চাপান সার এই গাছের জন্য ভাল। নিমের গুড়ো খোল, কাঠের ভষ্ম, গুঁড়ো হাড়, ও গোবর সার মিশিয়ে তৈরী করুণ চাপান সার। শীতের শেষে সার দিতে হবে।
Reviews
There are no reviews yet.