নামঃ নাশপাতি
বৈজ্ঞানিক নামঃPyrus pyrifolia
বর্ণনাঃ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে নাশপাতিতে। ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকার কারণে এই ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তাই ফ্লু অথবা ঠাণ্ডাজনিতে রোগে ভুগলে অনেক ডাক্তার নাশপাতি খাওয়ার পরামর্শ দেন।
রোপণ ও পরিচর্যাঃএ দেশের মাটি ও জলবায়ু এশিয়ান নাশপাতি জন্মানোর জন্য উপযোগী।নাশপাতি চাষের জন্য উর্বর দো-আঁশ বা বেলে দো-আঁশ মাটি উত্তম। আমাদের দেশে পার্বত্য পাহাড়ি অঞ্চলে অতি সীমিত আকারে নাশপাতির চাষ করা হচ্ছে। কুঁড়ি সংযোজনের দ্বারা নাশপাতির বংশ বৃদ্ধি করে থাকে।এছড়া গুটি কলমের মাধ্যেম নাশপাতি বংস বিস্তার করা যায়।নাশপাতির চারা রোপণের সঠিক সময় এপ্রিল-মে মাস। এরপর কলম কেটে জুলাই-আগষ্ট মাস রোপন করার জন্য উপযোগী। নাশপাতি চাষের জন্য ৪-৬ মিটা্র দূরত্বে গাছ রোপন করতে হবে।জৈব সার নাশপাতি গাছের জন্য উত্তম। এছাড়াও অন্য যেসব সার দিতে হবে গোবর-১৫ কেজি,খৈল-১ কেজি,টিএসপি-৫০০-৬০০ গ্রাম,এমপি-১৫০-২০০ গ্রাম.এই উপাদানগুলো একসাথে মিশিয়ে একটি গর্ত করে পচাতে হবে। তাই গাছ লাগানোর ৩০ থেকে ৪০ দিন পর গাছ প্রতি ১০০ গ্রাম হারে ইউরিয়া সার দিতে হবে। ১ থেকে ৫ বছর বয়সী গাছে ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম ইউরিয়া সার দিতে হবে। বয়স্ক ও ফলন্ত গাছে বর্ষা মৌসুমের আগে এবং পরে মধ্য জৈষ্ঠ্য এবং আশ্বিনের শেষে পচা গোবর ৩০ কেজি, খৈল ২ কেজি, ইউরিয়া ৫০০ গ্রাম, এবং টিএসপি ৪০০ গ্রাম দিলে ভাল হবে।নাশপাতির খাঁড়া ডালে নতুন শাখা-প্রশাখা কম হয়। এ জন্য খাঁড়া ডালে ওজন বা টানার সাহায্যে নুয়ে দিলে প্রচুর সংখ্যক নতুন শাখা গজায়। এতে ফলন ও ফলের গুণগতমান বৃদ্ধি পায়।
Reviews
There are no reviews yet.