নামঃ লাল কলা
বৈজ্ঞানিক নামঃ Musa acuminata
বর্ণনাঃ প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোনেট ও ভিটামিন সি থাকে লাল কলায়। থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও। লাল কলায় থাকে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে লাল কলা খাওয়া ভালো। তবে শুধু কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্যই নয়, হজম শক্তি বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে লাল কলা। লাল কলায় থাকে তিন ধরনের প্রাকৃতিক সুগার- ফ্রুকটোজ, সুক্রোজ এবং গ্লুকোজ। শরীরের মধ্যে এই সুগারগুলো খুব তাড়াতাড়ি ভেঙে যায় এবং প্রচুর পরিমাণে শক্তি উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। ফলে সকালের নাস্তায় লাল কলা খুবই ভালো। অনেকেই কিডনির স্টোনে ভুগে থাকেন। এ কলা নিয়মিত খেলে কিডনির পাথর দূর হয়। লাল কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে, যা কিডনিতে পাথর জমতে দেয় না। লাল কলায় রয়েছে ভিটামিন বি-৬। যা হিমোগ্লোবিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।
রোপণ ও পরিচর্যাঃপর্যাপ্ত রোদযুক্ত ও পানি নিকাশের সুবিধাযুক্ত উঁচু জমি কলা চাষের জন্য উপযুক্ত। উর্বর দো-আঁশ মাটি কলা চাষের জন্য উত্তম। চাষ ও মই দিয়ে জমি সমতল ও আগাছামুক্ত করে নিতে হবে।কলার চারা বছরে ৩ সময়ে রোপণ করা যায়। ১ম রোপণ কাল : আশ্বিন-কার্তিক সবচেয়ে ভালো সময়। ২য় রোপণ কাল : মাঘ-ফাল্গুন ভালো সময়। ৩য় রোপণ কাল : চৈত্র-বৈশাখ মোটামুটি ভালো সময়। সারি থেকে সারির দূরত্ব ২ মিটার এবং চারা থেকে চারার দূরত্ব ২ মিটার। চারা রোপণের মাসখানেক আগেই গর্ত খনন করতে হবে। গর্তের আকার হবে ৬০ সেমি. চওড়া ও ৬০ সেমি. গভীর। গর্ত তৈরি হয়ে গেলে গোবর ও টিএসপি সার মাটির সাথে মিশিয়ে গর্ত ভরে রাখতে হবে। চারা রোপণের সময় মাটিতে পর্যাপ্ত রস না থাকলে তখনই সেচ দেয়া উচিত। এছাড়া শুকনো মৌসুমে ১৫-২০ দিন পর পর সেচ দেয়া দরকার। বর্ষার সময় কলা বাগানে যাতে পানি জমতে না পারে তার জন্য নালা থাকা আব্যশক। মোচা আসার পর গাছপ্রতি মাত্র একটি তেউড় বাড়তে দেয়া ভালো। কলার চারা রোপণের ১১-১৫ মাসের মধ্যেই সাধারণত সব জাতের কলা পাকার উপযুক্ত হয়।
Reviews
There are no reviews yet.