নামঃ ইন্ডিয়ান করমচা বা Christ’s thorn
বৈজ্ঞানিক নামঃCarissa carandas
বর্ণনাঃ কম পরিচিত কিন্তু অনেক বেশি উপকারী একটি ফল হলো করমচা । করমচায় থাকে প্রচুর ভিটামিন সি, বি এবং আয়রন। এছাড়াও এই ফলে পাওয়া যায় প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ট্যানিন, ক্যারিসোন এবং ট্রাইটারপেনয়েড।
রোপণ ও পরিচর্যাঃকরমচা গাছ গরম, আর্দ্র কিংবা শুষ্ক পরিবেশে ভালো জন্মে। এছাড়া বেলে-দোআঁশ বা হালকা মাটিতে করমচা জন্মাতে ভালোবাসে। অম্লমাটি অপেক্ষা কিছুটা ক্ষারভাবাপন্ন মাটি বেশি পছন্দ করে। করমচা চাষে জমি উঁচু হলেই ভালো তবে নিচু জমিতেও চাষ করা চলে যদি পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো থাকে। গাছ লাগানোর ১৫-২০ দিন আগে থেকে গর্ত তৈরি করতে হবে। বাগানে চাষ করতে হলে গর্ত তৈরির আগে ৩০ সেমি. গভীর করে জমি চাষ করে নিতে হবে। গর্তের মাঝখানে চারা বসিয়ে পানি সেচ দিতে হবে। চারার গোড়ার মাটি শক্তভাবে চেপে দিতে হবে; যাতে গাছ পড়ে না যায়। বর্ষাকালে চারা রোপণ করা ভালো। এতে বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় না। শীতকাল বাদে অন্য সময়েও চারা রোপণ করা যায়। সার প্রয়োগ ক্ষেত্রে প্রতি বছর বর্ষার আগে করমচা গাছের গোড়ার মাটির সাথে ১০ কেজি কম্পোস্ট সার ২৫ গ্রাম সুফলা মিশিয়ে দিলে উপকার হয়। বড় গাছে সার প্রয়োগের প্রচলন কম হলেও ভালো ফলন পেতে গোবর সারের সাথে ৫০ গ্রাম সুফলা দিতে হবে।
করমচা গাছের পরিচর্যার বেলায় ফল শেষ হয়ে যাওয়ার পর ঘন ডালপালা ছেঁটে কিছু হালকা করে দেয়া দরকার। গোড়ায় মাটি ধরিয়ে বর্ষার আগে একটু উঁচু করে দিতে হবে। যাতে বৃষ্টির পানি না দাঁড়ায়। মাঝে মধ্যে গোড়ায় মাটি আগাছামুক্ত করে হালকা করে কুপিয়ে দিতে হবে।ফেব্রুয়ারি মাসে গাছে ফুল আসে এবং ফল ধর এপ্রিল-মে মাসে। এছাড়া বর্ষায় ফল পাকে। অনেক সময় আবার অনিয়মিতভাবে কমবেশি প্রায় সারা বছরই করমচা ফলে।
Babor160 –
Very good product.
Babor160 –
Very good quality.