নামঃ ইন্ডিয়ান আপেল
বৈজ্ঞানিক নামঃMalus domestica
বর্ণনাঃ পুষ্টি উপাদানে ভরপুর এই ফল আপেল ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরের শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন। ওজন কমাতে সাহায্য করে হার্ট ভালো রাখে ফোলা কমাতে সাহায্য করে।
রোপণ ও পরিচর্যাঃ আপেল গাছ করার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সঠিকভাবে মাটি তৈরী | ৩০ শতাংশ বাগানের মাটি, ৩০ শতাংশ কম্পোস্ট, ২০ শতাংশ কোকোপিট্, ১০ শতাংশ সাদা বালি এবং নিতে হবে ১০ শতাংশ বালি চলা পাথর | এরপর প্রতি ১ বস্তা মাটির জন্য নিতে হবে ৪০০ গ্রাম হার গুঁড়ো, ২০০ গ্রাম নিম খোল এবং ১০ গ্রাম যেকোনো ফাঙ্গিসাইড পাউডার | এবার আপনাকে সবকিছু উপাদান একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে এবং এই মিশ্রণটি হলো আপেল গাছের পুষ্টি | এভাবে মাটিকে মিশিয়ে জল দিয়ে ভিজিয়ে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে বা বস্তার মধ্যে ভরে ১০ থেকে ১৫ দিন রাখতে হবে | তারপর সেই মাটিকে বার করে রোদে শুকিয়ে ব্যবহার করতে হবে | গাছ বসানোর সময় মাথায় রাখতে হবে, টবটিকে সম্পূর্ণ মাটি দিয়ে ভর্তি করবেননা |গাছ বসানোর পরে খেয়াল রাখতে হবে, গাছে যেন জল ধরে না রাখে | টবের নিচে গর্ত দিয়ে জল বেরিয়ে যায় | গাছে নিয়মিত পেস্টিসাইড স্প্রে করতে হবে | যাতে ছত্রাক ঘটিত রোগ না হয় | ফেব্রুয়ারী মাসের গাছের ফুল আসার জন্য বিশেষ যত্ন নিতে হয় | অনেক সময় দেখা যায় ফুলের বদলে পাতা বের হয় | তাই ফুলের সম্ভাবনা বাড়ার জন্য প্লানোফিক্স PGR প্রতি লিটার জলে ৫ ফোটা গুলে গাছে স্প্রে করতে হবে | মার্চ মাসে সপ্তাহে ১ বার মানকোজেব যুক্ত যেকোনো ছত্রাকনাশক গাছে স্প্রে করতে হবে | গাছে ফল ধরলে ৭-১০ দিন ছাড়া নিম তেল ও ফাঙ্গিসাইড মিশিয়ে গাছে স্প্রে করতে হবে |আপেল গাছের ক্ষেত্রে ২ মাস অন্তর মিশ্র জৈব সার ব্যবহার করা যেতে পারে | ২৫ শতাংশ সর্ষে খোলের গুঁড়ো, ২৫ শতাংশ নিম খোল, ২৫ শতাংশ হার গুঁড়ো এবং ২৫ শতাংশ সিমকুচি নিতে হবে | এই পুরো মিশ্রনের মধ্যে ৫ গ্রাম SOP বা সালফেট অফ পটাস দিতে হবে | টব যদি ১০-১২ ইঞ্চির হয় এই উপাদানের ২ মুঠো গাছে ২ মাস অন্তর অন্তর প্রয়োগ করতে হবে ।
Reviews
There are no reviews yet.