নামঃ Gardenia,গন্ধরাজ
বৈজ্ঞানিক নাম : Gardenia jasminoides
বর্ণনাঃগন্ধরাজ ফুলের বিভিন্ন নামঃ গন্ধরাজ,গুলচন্দ,
বুঙ্গা চায়না,গার্ডেনিয়া ইত্যাদী।
পুজোর ফুল হিসাবে গন্ধরাজ
ফুলের গুরুত্ব অনেক। বিভিন্ন পুজোতে এই ফুলের
বিশেষ চাহিদা থাকে। এ ফুলের অসাধারণ গন্ধ
মানুষকে মোহিত করে রাখে। এর আদিনিবাস চিন।
গন্ধরাজ ফুলের নামকরণ: গন্ধরাজ ফুলের নামকরণের
ইতিহাস দীর্ঘদিনের। স্কটল্যান্ডের বংশোদ্ভূত তথা
আমেরিকান প্রকৃতিবিদ ড. আলেক্সান্ডার
গার্ডেনের নাম অনুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে।
গন্ধরাজের বৈশিষ্ট্য:
এটি একটি গুল্মজাতীয় গাছ,
এটি বহুবর্ষজীবি গাছ।
ফুলের মিষ্টি ও তীব্র সুগন্ধ পাওয়া যায়।
এই ফুলের নির্যাস থেকে সুগন্ধী তৈরী হয়।
সাধারণত ফুল সতেজ থাকে ৬-৭ দিন পর্যন্ত।
এই ফুল সাধারণত রাতে ফোঁটে।
গ্রীষ্ম কালে গন্ধরাজ গাছের ফুল ফোটে।
গন্ধরাজ ফুলের রং:
গন্ধরাজ ফুলের আকার অনেকটা গোলাপের মতো। ছয়
থেকে বারোটি পাপড়িতে বিন্যস্ত থাকে গন্ধরাজ।
এর রং ধব ধবে সাদা হয়। অসংখ্য পাপড়ির সমন্বয়ে
সৃষ্ঠ এই গন্ধরাজ ফুল। এর মাঝে পরাগ অবস্থিত।
গন্ধরাজের জাত বা শ্রেনী:
এর কয়েকটি প্রজাতি বা শ্রেণী রয়েছে। যেমন-
লুসিজ,কিরকাই ইত্যাদী।
ব্যবহারঃ গন্ধরাজ ফুল টবে,বাড়ির উঠান, ঘরের
বারান্দা ইদ্যাদি জায়গায় সাজালে সেখানকার
সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
বংশবিস্তার পদ্ধতি: গন্ধরাজ ফুল তিন প্রকার
পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করা সম্ভব।
বীজ থেকে বংশবিস্তার করা সম্ভব।
কাটিং করে বংশবিস্তার করা সম্ভব।
গুটি কলম করে বংশবিস্তার করা যায়।
জলবায়ু
গন্ধরাজ গাছের চাষের জন্য আর্দ্র মাটি প্রয়োজন।
তবে মাটি যাতে বেশী ভিজে কাদা কাদা না হয়
সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর কোনো কারণে
মাটি স্যাঁতসেঁতে থাকলে সেই কয়দিন জল দেওয়ার
প্রয়োজন নেই। এছাড়া প্রতিদিন নিয়ম করে জল
দেওয়া উচিৎ।
টব.. গন্ধরাজফুল চাষের জন্য ২৫ সেমি উচ্চতার টব হলে
ভাল হয়।
সার মাটি.. যে কোনও মাটিতেই গন্ধরাজ গাছ
জন্মায়। তবে দোঁয়াশ ও বেলে মাটিতে গন্ধরাজ
গাছের ভাল চাষ হয়। আপনি যদি টবে জবা চাষ করতে
চান তাহলে প্রথমেই যেটি করবেন, পরিমান মতো
দো-আঁশ বা বেলে মাটি, এর সাথে গোবর
সার,স্টেরামিল মিশিয়ে নিন। এতে টবের মাটি ভাল
থাকবে।
সার.. ভামি কম্পস্ট, চাপান সার ও তরল সার এই গাছের
জন্য ভাল। নিমের গুড়ো খোল, কাঠের ভষ্ম, গুঁড়ো হাড়,
ও গোবড় সার মিশিয়ে তৈরী করুণ চাপান সার। আর
নির্দিষ্ট পরিমান ক্যানসার,সরষে খোল,জল,
ম্যাগনেশিয়াম সালফেট তরল সার হিসেবে ব্যবহৃত
হয়।
সার প্রদানঃ
ফেব্রুয়ারী মাস নাগাদ চাপান সার দিলে ভাল।
বর্ষাকালে ১৫-২০ দিন অন্তর অন্তর তরল সার দিলে
ভাল।
পরিচর্যাঃ
বসন্তকাল থেকে বর্ষাকাল পর্যন্ত এই ফুল হয়। খেয়াল
রাখতে হবে গাছে যেন চড়া রোদ না লাগে। হাল্কা
ছায়ায় গাছ রাখতে হবে। আর সার হিসেবে চাপান
সার বা তরল সার দিতে হবে। গন্ধরাজ গাছে জল
দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে গোড়ায় জল
না জমে। মাসে দুবার মাটি খুঁচিয়ে দিতে হবে। মাটি
যদি কোনো কারণে স্যাঁতস্যাঁতে হয়, তাহলে কলি
ঝরে যাবে, পাতা ঝরে যাবে।
ডাল ছাঁটাই
একটি সতেজ গাছ তৈরির প্রক্রিয়াটি হল গাছটি বড়
হলে ডগাটি ছেটে দিতে হবে। এরপর কয়েকদিন পর
কান্ডের পাশ থেকে শাখা বের হবে, তাদের মধ্যে
কয়েকটি শাখা রেখে বাকীগুলি ছিড়ে ফেলুন। এরপর
গাছের গোড়ায় মাটি দিন। সতেজ গাছ রাখতে হলে
একটি সোজা শাখা ও ৪-৫ টি পার্শ্ব শাখা রাখতে
হবে। বেশী ফুল পেতে হলে গাছের আগা ভেঙ্গে
দিন। এতে ঝাকড়ানো গাছ হবে। বছরে একবার ডাল
ছাঁটতে হবে। শুধু তাই নয়। বছরে একবার শিকর ছাঁটতে
হবে।
গন্ধরাজ
গন্ধরাজ ফুলের ঔষধি গুণঃ
গন্ধরাজ গাছের নানান ঔষধি গুন রয়েছে। তাই তো
আয়ুর্বেদে গন্ধরাজ ফুলের অনেক ব্যবহারের কথা
শোনা যায়। যে সমস্ত রোগ গন্ধরাজ ফুলের মাধ্যমে
সাড়ে নিচে দেওয়া হল।
স্নায়বিক সমস্যা দূর করে।
বদহজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ফুসফুসের রোগ নিরাময় হয়।
এর ফল জন্ডিস সারাতে কাজে লাগে।
Reviews
There are no reviews yet.