নাম: Garden Balsam,দোপাটি
বৈজ্ঞানিক নাম: Impatiens balsamina
বর্ণনাঃদোপাটি ফুলের পাপড়ি সাধারণত বাইরের দিকে খোলা থাকে। দোপাটি ফুল সাধারনত সাদা,গোলাপি,বেগুণী,লাল,কমলা এবং মিশ্র রং এর হয়।
দোপাটি ফুলের গুরুত্ব: সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে এই ফুল ব্যবহৃত হয়। এছাড়া সারা বছর বিভিন্ন পূজোয় এই ফুল ব্যবহৃত হয়। বাগান বা ছাদের টবে বা পার্কে সাজাতে ও সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে এই ফুল ব্যবহৃত হয়।
দোপাটি ফুলের বিস্তারঃ এই ফুলের আদি নিবাস ভারত, বাংলাদেশ,মালয়েশিয়া ও চিন সহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিস্তৃর্ণ অংশ জুড়ে। এটি সাধারণত পৃথিবীর উষ্ণ ও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে পাওয়া যায়।
দোপাটি ফুলের বিভিন্ন প্রজাতিঃ দোপাটি ফুলে বেশ কয়েটি প্রজাতি দেখে পাওয়া যায়। তার মধ্যে সেরা দুটি হল ক্যামেলিয়া এবং বালসাম ।
দোপাটি ফুল ও গাছের বৈশিষ্ট্য:
এটি একটি সপুষ্পক বর্ষজীবী বিরুৎ গা এর কান্ড খুব নরম, রসপূর্ণ ও ভঙ্গুর হয়।
এদের কান্ড ঋজু,সরল, অনিয়িমিত শাখান্বিত।
শুরুতে এর কান্ড রোম বিহীন হলেও পরে অবশ্য রোমশ এর পাতাগুলি ছোট হয়। পাতার কিনারায় হালকা কাঁটা যুক্ত খাঁজ বিদ্যমান। এই গাছ বেশ ঝোঁপালো হয়।
এর ফুল সিঙ্গল ও ডাবল হয়।
বৃন্ত সরু হয়। ১-২ সেমি দৈঘ্যের হয়।
এর বীজটা বাইরের দিকে আলাদা ভাবে থাকে।
পুংকেশর ৫টি,পুংদন্ড খাটো,পরাগধানী সংযুক্ত।
এই গাছের উচ্চতা ১.৫-২ ফুট পর্যন্ত হয়।
দোপাটি বর্ষাকালীন ফুল। তবে সারা বছর এই ফুল ফোঁটে। বর্ষায় অবশ্য এর ফলন সবচেয়ে বেশী হয়।
এটি একটি সুগন্ধীহীন ফুল।
দোপাটি ফুলের রং:
দোপাটি ফুলের পাপড়ি সাধারণত বাইরের দিকে খোলা থাকে। দোপাটি ফুল সাধারনত সাদা,গোলাপি,বেগুণী,লাল,কমলা এবং মিশ্র রং এর হয়। এর পাপড়ি খুব নরম ও কোমল।
ব্যবহারঃ দোপাটি ফুল টবে,বাড়ির উঠান,বারান্দা ইত্যাদি জায়গায় সাজালে সেখানকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয়।
বংশবিস্তার পদ্ধতি: দোপাটি ফুল প্রধানত এক প্রকার পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করে।
বীজ থেকে এরা বংশবিস্তার করে
জলবায়ু:
দোপাটি ফুল গাছের চাষের জন্য ভেজা মাটি তবে খুব বেশী স্যাঁতসেঁতে আর্দ্র মাটি প্রয়োজন হয় না। আবার মাটি যাতে বেশী ভিজে কাঁদা কাঁদা না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আর কোনো কারণে মাটি বেশী স্যাঁতস্যাঁতে বা ভিজে থাকলে সেই কয়দিন জল দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এই গাছ চাষের জন্য উম্মুক্ত পরিবেশ দরকার হয়। তবে নিয়ম করে জল দিতে হবে।
টব..দোপাটি ফুল চাষের জন্য ছোটো,মাঝারি,বড় সাইজের যে কোনো টব হলেই চলবে।একটি টবে ২-৩টি গাছ হতে পারে।তবে তা টবের উপর নির্ভরশীল।
দোপাটি চাষের সময়কালঃ
এই ফুল গ্রীষ্ম,বর্ষা,শীত তিনটি ঋতুতেই দেখা যায়। শীতের শেষে এই গাছ টবে পুঁতলে ভাল হয়। গ্রীষ্ম ও বর্ষায় এই গাছে প্রচুর ফুল হয়। দোপাটি প্রধাণত খরিপ মরসুমের ফুল।
সার মাটি :
উর্বর দোঁআশ মাটি ও বেলে মাটি দোপাটি ফুল চাষের জন্য ভাল। তবে এঁটেল মাটিতে এই ফুল ভাল চাষ হয় না। আপনি যদি টবে দোপাটি চাষ করতে চান তাহলে প্রথমেই যেটি করবেন, পরিমান মতো দো-আঁশ বা বেলে মাটি এর সাথে গোবর, পাতাসার মিশিয়ে সারমাটি তৈরী করুন। যার মধ্যে বীজ বপন করবেন। এছাড়াও আপনি চাড়া গাছও বপন করে পারেন। মাটি সবসময় ঝুরঝুরে থাকতে হবে। এরপর বীজ বা চাড়া গাছ বপনের কিছুদিন পর থেকে নির্দিষ্ট পরিমান জল নিয়ে তাতে কিছুটা ভি.এ.পি,কিছুটা ম্যাগেশিয়াম সালফেট,কিছুটা মিউরিয়েট অফ পটাশ দিতে হবে। তাতে ফুলের বৃদ্ধি হবে তাড়াতাড়ি।এতে টবের মাটি ভাল থাকবে। এটা অবশ্যই গাছ হবার পর দেবেন।
সার:
চাপান সার ও রাসায়নিক সার এই গাছের জন্য ভাল।
পরিচর্যা:
আপনাকে প্রথমে প্লাস্টিকের পাইপ, পাট কাঠি,কঞ্চি,শক্ত লাঠি জোগাড় করতে হবে। এরপর এগলি দিয়ে গাছগুলিকে ঠেকনা দিয়ে রাখা যায়। বড় হলে অবশ্য অবলম্বল গুলি সরিয়ে ফেলুন।এরপর সার হিসেবে চাপান সার বা তরল সার দিতে হবে। দোপাটি গাছে জল দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে গোড়ায় অত্যাধিক জল না জমে। নিয়ম করে মাটি খুঁচিয়ে দিতে হবে।
দোপাটি গাছে কীট বা জীবানুর আক্রমণ ও প্রতিকার
সার হিসেবে চাপান সার বা তরল সার দিতে হবে। দোপাটি গাছে জল দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে গোড়ায় অত্যাধিক জল না জমে। মাসে একবার/দুবার মাটি খুঁচিয়ে দিতে হবে। এই গাছে গুঁড়ো চিতি রোগ হতে পারে।তাতে পাতা ও ডাঁটায় সাদা ও ছাই রঙের পাতলা আস্তরণ পড়ে। আক্রান্ত গাছের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। গাছ গুলি পড়ে পচে মরে যায়। এক্ষেত্রে দ্রবণীয় গন্ধক জলে গুলে পাতায় ২-৩বার ছড়াতে হবে।
Reviews
There are no reviews yet.