নামঃ কাজু বাদাম
বৈজ্ঞানিক নামঃ Anacardium occidentale
বর্ণনাঃ কাজু বাদামকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাওয়ার হাউস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগ, চোখের বিভিন্ন রোগ ও স্মৃতিশক্তিজনিত যে কোনো সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে। এ ছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ফলে ত্বকের সৌন্দর্য বজায় থাকে এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।কাজু বাদামে এত পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়, যা প্রায় রান্না করা মাংশে পাওয়া প্রোটিনের সমান। এ ছাড়া এতে অনেক বেশি পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং শর্করার পরিমাণ কম থাকে।
রোপণ ও পরিচর্যাঃকাজু বাদাম উষ্ণ মন্ডলীয় ফল। কষ্ট সহিষ্ণু ও খরা প্রতিরোধী। প্রখর সূর্যালোক পছন্দ করে এবং ছায়াতে তেমন বৃদ্ধি পায়না। তাপমাত্রা অত্যধিক হলে কচি ফল ঝরে যায়। অধিক বৃষ্টিপাত এবং মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া ফলন কমিয়ে দেয়।
ভারী বেলে দো-আঁশ এবং লাল মাটির পাহাড়ী ঢালে এটি ভালো জন্মে। মাটির অম্লমান ৫-৬.৫০ গাছের বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
জুন- আগষ্ট মাস চারা রোপনের উপযুক্ত সময়। চর্তুভূজী পদ্ধতিতে ৭-৮ মিটার দূরত্বে রোপন করলে হেক্টরে কমবেশি ১৫০-১৮০ টি চারা প্রয়োজন। এ দূরত্বে চারা লাগালে ৩-৪ বছর আন্তঃফসল হিসাবে অন্যান্য ফসল আবাদ করা যাবে। ত্রিভুজী পদ্ধতিতে পাহাড়ীঢালে একই জায়গায় ১৫% বেশি চারা রোপন সম্ভব। ঘন পদ্ধতিতে ৪ মিটার দূরত্বে হেক্টরে ৫০০-৬০০ চারা রোপন সম্ভব। ঘন পদ্ধতিতে চারা রোপন করলে রোপনের ৩-৪ বছর হতে গাছের অংগ ছাটাই করতে হবে।মে- জুন মাসে একবার এবং সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের দ্বিতীয়বার গাছের গোড়ায় রিং পদ্ধতিতে সার প্রয়োগ করতে হবে। বয়স ভেদে সারের চাহিদা ভিন্ন হয়। ১ বছর বয়সী গাছের গোড়ায় ২ বারে গোবর/জৈবসার ১০ কেজি, ইউরিয়া সার ২৫০ গ্রাম, টিএসপি ২০০ গ্রাম এবং পটাশ ১৫০ গ্রাম প্রয়োজন। পরবর্তীতে ২য় বছরে ১ম বছরের দ্বিগুণ, ৩য় বছরে তিনগুণ, ৪র্থ বছরে চারগুণ এভাবে সারের মাত্রা বাড়াতে হবে। তবে কাঙ্খিত ফলনের জন্য গাছের চাহিদামত যুক্তিসংগত মাত্রায় সার প্রয়োগ করা প্রয়োজন।নভেম্বর- জানুয়ারী ফুল ফোটে এবং মার্চ- মে মাসে ফল পাকে।
Reviews
There are no reviews yet.