নামঃ লাল শিম
বৈজ্ঞানিক নাম: Lablab niger
বর্ণনাঃ লাল শীম শীত মৌসুমের শুরুতেই সরবরাহ কম থাকায় দাম থাকে চড়া। আমিষসমৃদ্ধ এই শিম তরকারি হিসেবে দু’ভাবে খাওয়া হয়। দেশী শিম বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শীতকালীন সবজি। এটি পুষ্টিকর, সুস্বাদু এবং সব শ্রেণীর লোকের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
বীজ বপন/সার প্রয়োগ: দেশের সকল জেলাতেই শীত মৌসুমে এ জাতের বীজ রোপণ করলে হয়। ভার্মি কম্পোস্ট মাটির মিশ্রনে ভরা ছোট পলিথিনে চারা গজিয়ে পরবর্তীতে মাঠে চারা লাগানোই উত্তম। প্রতি গর্তে ১০ কেজি ভার্মি কম্পোস্ট ১০ গ্রাম ইউরিয়া (দুইবারে), ৩০ গ্রাম টিএসপি ও ২০ গ্রাম পটাশ সার প্রয়োগ করতে হবে।
এ শিম খরা সহিষ্ণু। তবে মাটিতে আদ্রতার পরিমান বেশি কমে গেলে গাছের গোড়ায় পানি/সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। ফুলের পরাগায়ন এবং কঁচি ফলের বৃদ্ধি পর্যায়ে মাটির রস/আদ্রতা বিশেষ নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। শীতকালে নিয়মিত বিরতিতে স্বল্প সেচ গাছ ও ফলের বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
বাউনি/মাচা: এ জাতের শিমের জন্য এক কঞ্চিবিশিষ্ট বাউনি বা মাচা চাষ পদ্ধতিতে একটি কঞ্চিসহ বাঁশের মাথা, মাচা, ভি-আকৃতির গাছের ডালা কিংবা উলম্বভাবে ঝুলানো নাইলনের সুতার জাল ব্যবহার করা যেতে পারে। উন্মুক্ত গাছের পাতা যতবেশি সূর্যালোক পাবে ফলন তত বেশি হবে। গাছের আকার ও ফলন বিবেচনায় এটি ছাদ কৃষির জন্য একটি চমৎকার ফসল।
পোকামাকড় দমন: এ জাতটি জাব পোকা প্রতিরোধী। তবে অন্যান্য শিমের মতো খুদে মাকড় বা রেডমাইটের আক্রমণ দেখা দিতে পারে। খুদে মাকড় বা রেডমাইটের আক্রমণ দেখা দিলে প্রতিকারের জন্য ভার্মিটেক/ওমাইট ১৫ গ্রাম ১০ লিটার পানির সঙ্গে মিশিয়ে গাছে প্রয়োগ করতে হবে।
বীজ লাগানোর ১৩০ দিনের মধ্যে শিম সংগ্রহ করা যায়। তবে বীজ সংগ্রহের জন্য আরও ২০ দিন সময় বেশি লাগবে। দুই থেকে চার মাস একই গাছ থেকে শিম সংগ্রহ করা যাবে।
Reviews
There are no reviews yet.