নামঃ সাদা হাইব্রিড বেগুন
বৈজ্ঞানিক নামঃ Solanum Melongena
বর্ণনাঃ বেগুন হলো উষ্ণ জলবায়ুর ফসল। বেগুন শীতকালে চাষের জন্য বেশ উপযোগী। বেশি তাপমাত্রায় বেগুন ভালো ফলন দেয় না।
জমি চাষঃ চারা রোপণের চার থেকে পাঁচ বার আগে লাঙ্গল বা মই দিতে হবে। মাটি ঝরঝরে করে নিতে হবে মই দিয়ে। এক থেকে দেড় মাস বয়সের চারা ৭৫ সেন্টিমিটার দূরে সারি করে ৬০ সেন্টিমিটার দূরে রোপণ করতে হবে। প্রতি শতক জমি বা ৪৩৫.৬ বর্গফুট জমিতে ০.৫ গ্রাম বীজ প্রয়োজন হতে পারে।
বেগুন চাষে সার:
বেগুন চাষে পরিমাণমতো সার প্রয়োগ করতে হবে। বেগুন গাছ মাটি থেকে বহু পরিমাণে খাদ্য উপাদান গ্রহণ করে থাকে । চারা বৃদ্ধির প্রথম সময়ের দিকে খাদ্যের অভাব হলে বেগুন গাছের চারা দ্রুত বাড়ে না এবং পরবর্তী সময়ে দেখা যায় ফলনও কমে আসছে।
বিশেষ করে শেষ চাষের সময় জমিতে
ভার্মি কম্পোস্ট সার প্রয়োজন হয় ৪০থেকে ৬০ কেজির মতো।
টিএসপি প্রয়োজন হবে শতক প্রতি=৭০০ গ্রাম।
ইউরিয়া প্রয়োজন হবে শতক প্রতি=১০০০গ্রাম।
এম ও পি প্রয়োজন হবে শতক প্রতি =৭০০ গ্রাম।
জিপসাম প্রয়োজন হবে শতক প্রতি =৪০০ গ্রাম।
দস্তা প্রয়োজন হবে শতক প্রতি=৪০ থেকে ৪৫ গ্রাম।
বোরন প্রয়োজন হবে শতক প্রতি=৪০ থেকে ৫০ গ্রাম।
চারা রোপণের পর ১০-১৫ দিন প্রথমবার, ফলন দেয়া আরম্ভ হলে দ্বিতীয় বার এবং ফলন আহরণের মধ্যম সময়ে তৃতীয় বার চারশত গ্রাম করে ইউরিয়া এবং দুইশত গ্রাম করে পটাশ প্রয়োগ করতে হবে।
সাদা মাছির ওষুধ বেগুন গাছে কেন ব্যবহার করা হয়:
হোয়াইট ফ্লাই গাছের পাতার রস চুষে খায়। পোকাগুলো খুব ছোট এবং নরম দেহ বিশিষ্ট হয়।
সাদা মাছি পোকার আক্রমণ হলে গাছের পাতায় হলদেটে দাগ পড়ে যায়। এই পোকা গাছের পাতার রস চুষে নিয়ে গাছকে দুর্বল করে দেয়। যার ফলে গাছের নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয়।
এই পোকা যে গাছকে আক্রান্ত করে সেই গাছকে নিস্তেজ করে দিতে সক্ষম হয়। এ ধরনের পোকা পাতার রং কেও বিবর্ণ করে দেয়। তাই সাদা মাছের ওষুধ অভিজ্ঞ কৃষক বেগুন গাছে ব্যবহার করে থাকে।
বেগুন গাছের সাদা মাছির ওষুধঃ
সাদা মাছি দমনে ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক ৮ থেকে ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন ।
ঘন সাবানের পানি স্প্রে করতে পারেন। অথবা নিমবীজের পানি আক্রান্ত গাছে এক সপ্তাহ পর পর স্প্রে করলে পোকা নিয়ন্ত্রন করা যায়।
Reviews
There are no reviews yet.