নাম ঃ সুপারি বা গুয়া গাছ
বৈজ্ঞানিক নাম ঃAreca catechu
বর্ণনাঃ সুপারি বাংলাদেশের অর্থকরী ফসলগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রাচীনকাল থেকেই এদেশের মানুষ পানের সাথে অপরিহার্য উপাদান হিসেবে সুপারি ব্যবহার করে আসছে।
রোপণ ও পরিচর্যাঃদো-আঁশ, পলি দো-আঁশ মাটি সুপারি গাছের জন্য উপযুক্ত। খোলামেলা, সেচের সুবিধা আছে এমন হালকা বুনটের মাটিতে রোপণ করা উচিত। মাটিতে বালুর পরিমাণ কম থাকলে কিছু ভিটি বালু মিশিয়ে নিলে ভালো হয়। ছোট অবস্থায় সুপারি গাছ তীব্র বাতাস এবং প্রখর সূর্যালোক সহ্য করতে পারে না। কাজেই সুপারির চারা মাঠে লাগানোর পূর্বেই ছায়া প্রদানকারী গাছ রোপণ করতে হবে। সুপারির চারা সাধারণত মাদা তৈরি করে লাগানো হয়। মাদার আকার ৭০ সেমি. x ৭০ সেমি. x ৭০ সেমি হলে ভালো হয়। মাদা তৈরি করার সময় উপরের মাটি একদিকে এবং নিচের মাটি অন্যদিকে আলাদা করে রাখতে হবে। গর্তের ভেতরটা শুকনো পাতা, খড় এসব দিয়ে ভরাট করে আগুনে পুড়িয়ে দিলে গর্তটা শোধন হয়ে যাবে।
প্রতিটি গর্তের জন্যে ১০ কেজি কম্পোস্ট এবং ১ কেজি খৈল গর্তের উপরের অর্ধেক মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে গর্তের তিন-চতুর্থাংশ ঐ মাটি দ্বারা ভরে ফেলতে হবে। সাধারণত মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চারা রোপণ করা যায়। তবে জুন-জুলাই মাস চারা রোপণের জন্য উত্তম। মাদার দূরত্ব অর্থাৎ চারার দূরত্ব বর্গাকার পদ্ধতিতে ৪ হাত এবং আয়াতাকার পদ্ধতিতে লাইন থেকে লাইন ৮ হাত এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ৪ হাত।
সুপারির চারা লাগানোর পর সঠিকভাবে যত্ন নিলে ৪-৫ বছরের মধ্যেই ফলন আসতে শুরু করে। গাছে ফুল আসার পর থেকে ফল পাকতে ৯-১০ মাস বয়স লাগে।সুপারি গাছের পরিচর্যা করতে হয় বছরে দুবার। বৈশাখ জৈষ্ঠ মাস ও ভাদ্র আশ্বিন মাসে এই গাছের পরিচর্যা করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। এই গাছে বছরে দু’বার ইউরিয়ার, টিএসপি , এমওপি সার দিতে হবে। এছাড়াও এই গাছে সার প্রয়োগের একদিন আগে প্রয়োজনীয় সেচ দিতে হবে। সুপারি গাছের সার প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরী কারণ এই গাছে রোগ পোকার আক্রান্ত হয়। ফলে এক্ষেত্রে ভালো ফলন পাওয়া যায় না।
ছত্রাকঘটিত রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে গাছের গোড়ায় জৈব সার ও ব্যবহার করতে হয়।
Babor160 –
Very good product.
Badal01 –
ভেরি নাইস পোডাক